স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ লেজুড়বৃত্তিক জাতীয় পার্টির বন্দর থানার নেতা ফারুক হোসেন এখনো অধরা।উল্লেখ্য গত আওয়ামীলীগের আমলে জাতীয় পার্টি সংসদ নির্বাচনে সহযোগী হিসেবে কাজ করলেও নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের সদস্যরা সরাসরি তাদের দোসর হয়ে কাজ করেছে। তদনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা কোনো আওয়ামী প্রার্থী নিযুক্ত করেনি। এজন্য বিভিন্ন প্রোগ্রামে জাতীয় পার্টির নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান বলতেন, আমি নেত্রীর কাছে নৌকা প্রতিক চেয়েছিলাম। আগামীতে আমি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবো।এদিকে গত ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনামলে নারায়ণগঞ্জ,সোনারগাঁ এবং বন্দরের রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের রাজত্ব কায়েম ছিলো নজিরবিহীন । নারায়ণগঞ্জ সদর তথা বন্দরের রাজনীতিতে আওয়ামী পন্থী এবং জাতীয় পার্টির আম্মাজান গ্রুপ ও ভাইজান গ্রুপ এবং এমপি সেলিম ওসমানের দল করতো। এমনকি বিএনপির বিভিন্ন নেতারা ওসমান পরিবারের সহযোগিতায় ব্যবসা-বানিজ্য এবং রাজনীতিতে সরগরম ছিলো।তারই ধারাবাহিকতায় বন্দরের যুব সংহতি সভাপতি ও মহানগরের নেতা ফারুক হোসেন আম্মাজান এবং ভাইজান গ্রুপের হয়ে ত্রাসের রাজত্বে লিপ্ত ছিলো । ছাত্র আন্দোলনে গত জুলাই মাসে তিনি ওসমান পরিবারের সাথে সশস্ত্র শোডাউনে অংশ নেয় এবং ছাত্র জনতার উপর হামলা চালায় । ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীতে অংশগ্রহন করেও বন্দরের বাবুপাড়ার ফারুক দিব্যি তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন। ছাত্র জনতার উপর নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। আন্দোলন পরবর্তী রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে সক্রিয়। শুধু তাই নয় বন্দর যুব সংহতির সভাপতি বাগিয়ে নিয়ে জেলা যুব সংহতির সভাপতি রিপন ভাওয়ালের সাথে সক্ষতা ও দক্ষতা তৈরি করে গড়ে তোলেছে মাদকের সম্রাজ্য।আওয়ামীলীগের দোসরদের এখনো পর্যন্ত বীরদর্পে সক্রিয়তা দেখে সাধারন জনগণ উৎকণ্ঠায় আছেন। জনগনের দাবী আওয়ামীলীগের দোসরদের দ্রত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করছি।
Leave a Reply