1. online@matirmayatv.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. admin@matirmayatv.com : admin :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন

নওগাঁ মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরী হাটসহ বিভিন্ন হাটগুলোতে সিন্ডিকেট ও ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে!!!

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৫৮ বার পঠিত

নওগাঁ মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরী হাটসহ বিভিন্ন হাটগুলোতে সিন্ডিকেট ও ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে!!!

উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি –

নওগাঁর হাট-বাজারে সব ধরনের ধানের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে বাজারগুলোতে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকের তুলনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। যার প্রভাবে সরবরাহ সংকটে প্রায়ই টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে ধানের বাজারদরে। বিষয়টিকে ‘সিন্ডিকেট’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে খুব শিগগির মজুতবিরোধী অভিযানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরী হাটে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিমণ স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ১ হাজার ৪৪০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪৫০ টাকা, শুভলতা ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ব্রিধান-৪৯ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫৪০ টাকা, জিরাশাইল ১ হাজার ৮৭০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯২০ টাকা, সম্পা কাটারি ১ হাজার ৭৬০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮৭০ টাকা এবং হাইব্রিড ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ দরে বেচাকেনা হচ্ছে। এক মাস আগে এই হাটে মানভেদে প্রতিমণ স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ১ হাজার ৪৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, সুভলতা ১ হাজার ৬৬০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭১০ টাকা, ব্রিধান-৪৯ ১ হাজার ৫৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫৯০ টাকা, জিরাশাইল ১ হাজার ৬৮০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭২০ টাকা, সম্পা কাটারী ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭৬০ টাকা এবং হাইব্রিড ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৫০ টাকা মণ দরে বেচাকেনা হয়েছে।মহাদেবপুর উপজেলার ভিমপুর ইউনিয়নের পাটনা গ্রাম থেকে চকগৌরী হাটে ধান বিক্রি করতে এসেছেন কৃষক আব্দুস সালাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে বেচাকেনা হওয়া স্বর্ণা-৫ জাতের ধান ছাড়া বাকি চারটি জাতের ধানের কোনোটিই কৃষকের হাতে নেই। মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন ফড়িয়া ব্যবসায়ী ও মজুতদাররা ধান কিনে রেখেছেন। তারাই এখন ওসব ধান বাজারে এনে চড়া দামে বিক্রি করছেন। এ সিন্ডিকেটের কারণে কখনোই কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় না।’বাজারে ধান কিনতে আসা ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘স্বর্ণা-৫ ছাড়া বাকি চারটি জাতের ধানের প্রায় প্রত্যেকেটির অযৌক্তিক দাম হাঁকছেন মজুতদাররা। ভ্যান ও ভটভটিতে করে প্রতি হাটে অল্প অল্প করে ধান এনে বিক্রি করে তারা সটকে পড়েন। বিগত বছরগুলোতে কখনোই এদের কাউকে ধানের ব্যবসায় দেখা যায়নি।’নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের ভাই ভাই ট্রেডার্সের আড়তদার আলতাফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারে জিরাশাইল ধান একেবারে নেই বললেই চলে। সরবরাহ সংকটে গত এক মাসের ব্যবধানে এই ধানের দাম প্রতিমণে অন্তত ২০০ টাকা করে বেড়েছে। বেশিরভাগ ধানের দামই অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে।’তিনি বলেন, অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান শুরু না হলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে চালের বাজার অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকবে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত মজুতবিরোধী অভিযানে নামার অনুরোধ জানান এ ব্যবসায়ী

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
All rights reserved © 2024
Design By Raytahost